Tuesday, May 1, 2018

কি করছি আমরা ফেসবুকের যত্রতত্র আদর্শ হ্যাজবেন্ড- ওয়াইফের মডেল বোঝাতে গিয়ে দেখা যায় আমরা বিভিন্ন ছবি ইউজ করি।

কি করছি আমরা ফেসবুকের যত্রতত্র আদর্শ হ্যাজবেন্ড- ওয়াইফের মডেল বোঝাতে গিয়ে দেখা যায় আমরা বিভিন্ন ছবি ইউজ করি।ঐ ছবি গুলোতে- ম্যাক্সিমাম ক্ষেত্রে দেখা যায় স্ত্রী নেকাবী, পর্দা করে,ভ্রু প্লাক করা,বোরখা পরিধান করে আছে, আর পক্ষান্তরে স্বামী ক্লিন সেইভড অথবা খোঁচা খোঁচা দাড়ি আর টাখনুর নিচে প্যান্ট পরা।তারা ইসলামিক পারফেক্ট কাপল বোঝাতে গিয়ে ইসলামকে মানুষের কাছে কিভাবে তুলে ধরছে??আবার দেখা যায়- অনেক নারী-ই মাথায় এক টুকরা কাপড় পেচিয়ে মাথাটা কোন রকম ঢেকছে,তারা কি বোঝে না যে, এক টুকরা কাপড় পেঁচিয়ে নিলেই সেটা হিজাব হয়ে যায় না। অনেকে মনে করে মাথায় স্কার্ফ পরলেই হিজাব হয়ে গেলো।অনেকে আবার মুখ খোলা রেখে এমন মেইকআপ করে যে আরও বেশী যুবকেরা ফিতনা পরতে থাকে। এরা তো আসলে হিজাব করে না, উল্টো সমাজে ফিতনা ছড়ায়। এগুলো যদি কেউ ইচ্ছেকরে করে তবে সে আল্লাহর সাথেই উপহাস করল। আর যদি না জেনে করে থাকে তবে তা থেকে তওবা করে সঠিক পথে ফিরে আসতে হবে। এই ধরনের হিজাব আসলে হিজাবের নামে ভণ্ডামি। এভাবে তারা ইসলামের নামে ইসলামকে বিকৃত করে মানুষের উপস্থাপন করছে।অনেকে এসব ছবিগুলো তাদের প্রোফাইল ছবি হিসেবেও ব্যবহার করছে।তাই সময় থাকতে সাবধান হোন।
ত্বারেক বিন শিহাব (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: এক ব্যক্তি একটি মাছির কারণে জান্নাতে যাবে আর এক ব্যক্তি মাছির কারণে জাহান্নামে জাহান্নামে যাবে। সাহাবীহণ বললেন তা কি ভাবে? উত্তরে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন : এক কওমের একটি ভাষ্কর্য বা মূর্তি ছিল। ওটার পাশ দিয়ে যেই যেত সেই উক্ত ভাষ্কর্যে কোন কিছু উতসর্গ না করে যেতে পারতো না। সেখান দিয়ে একবার দু’জন লোক যাচ্ছিল। তাদের একজনকে মূর্তিওয়ালারা বলল কিছু দান করে যাও। সে বলল, আমার কাছে দান করার মত কোন কিছুই নেই। তারা বলল একটি মাছি হলেও তোমাকে উতসর্গ করতে হবে। সুতরাং সে একটি মাছি উতসর্গ করল। তারা তার পথ ছেড়ে দিল। এভাবে সে যা উভয়হান্নামে প্রবেশের ফয়সালা নিশ্চিৎ করল। এবার অপর জনকেও বলল: কিছু দান করে যাও । সে জবাবে বলল, আমি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো উদ্দেশ্যে কোন কিছুই দান করব না। ফলে তারা তরবারী দিয়ে তার গর্দান উড়িয়ে দিল। কিন্তু সে জান্নাতের ফয়সালা লাভ করল। (মুসনাদে আহমাদ:২২)
রসূল (সা) বলেছেনঃ একদা এক ব্যক্তি পথ চলছিল। তার খুবই পিপাসা লাগল। অতঃপর সে একটি কূপ পেল। সুতরাং সে তাতে নেমে তা হতে পানি পান করল। অতঃপর বের হয়ে দেখতে পেল যে, [ওখানেই] একটি কুকুর পিপাসার জ্বালায় জিভ বের করে হাপাচ্ছে ও কাদা চাটছে। লোকটি [মনে মনে] বলল, পিপাসার তাড়নায় আমি যে পর্যায়ে পৌছেছিলাম, কুকুরটিও সেই পর্যায়ে পৌছেছে। অতএব সে কূপে নামল তারপর তার চামড়ার মোজায় পানি ভর্তি করল। অতঃপর সে উপরে ঊঠল এবং কুকুরটিকে পানি পান করাল। আল্লাহ্‌ তা'আলা তার এই আ'মালকে কুবুল করলেন এবং তাকে ক্ষমা ক'রে দিলেন। সাহাবাগণ বললেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল ! চতুস্পদ জন্তুর প্রতি দয়া প্রদর্শনেও কি আমাদের সওয়াব হবে? তিনি বললেন, প্রত্যেক জীবের প্রতি দয়া প্রদর্শনে নেকী রয়েছে। বুখারীর অন্য বর্ণনায় রয়েছে, আল্লাহ্‌ তা'আলা তার এই আ'মালকে কবুল করলেন। অতঃপর তাকে ক্ষমা ক'রে জান্নাতে প্রবেশ করালেন। সহীহ বুখারী, হাদীস ২৩৬৩
রাসুল (সাঃ) হযরত আলী (রাঃ) কে বলেন- ‘হে আলী! দৃষ্টির উপর দৃষ্টি ফেলো না। হঠাৎ যে দৃষ্টি পড়ে ওটা তোমার জন্য ক্ষমার্হ, কিন্তু পরবর্তী দৃষ্টি তোমার জন্য ক্ষমার যোগ্য নয়।’ (আবু দাউদঃ২১৪৪) “মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে (নিষিদ্ধ জিনিস দেখা হতে) এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।” [সূরা নুরঃ৩০] নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন- “হে যুব সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে তারা যেন বিয়ে করে। কেননা, বিবাহ তার দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং যৌনতাকে সংযমী করে; এবং যাদের বিয়ে করার সামর্থ্য নেই, সে যেন রোজা পালন করে। কেননা, রোজা তার যৌনতাকে দমন করবে।” (সহীহ বুখারী ৪৬৯৬, ইফা)

No comments:

Post a Comment

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ