তাবলীগী জামাআতের কর্মসূচী
তাঁদের উসূল ছয়টি। যথা :
১। কলেমা ২। নামায ৩। ইলম ও যিকির ৪। ইকরামুল মুসলিমিন ৫। তাসিয়ে নিয়ত ৬। তাবলীগ।
অথচ ইসলামের মূল স্তম্ভ পাঁচটি : ১. ঈমান, ২. সালাত, ৩. যাকাত, ৪. সিয়াম ও ৫. হজ্জ। (মুত্তাফাকুন আলাই)
শুরু থেকেই তাবলীগী জামাআত ইসলামের মূল
বুনিয়াদ থেকে দূরত্ব বজায় রেখে যাত্রা শুরু করেছে। তবে আল কুরআনের আদর্শ
বাস্তবায়ন করার জন্য এ ধরণের কর্মসূচী নিয়ে কাজ করা ইসলাম বিরোধী নয়।
কিন্তু যদি কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর আদর্শকে উপেক্ষা করে শুধুমাত্র ঐ একই
কর্মসূচী নিয়ে সারা জীবন মেহনত চলতে এবং
৬ নাম্বারের সীমাবদ্ধ কর্মসূচীকেই
ইসলামের পূর্ণাঙ্গ আদর্শ মনে করে তাহলে তা হবে নেহায়েত অন্যায় এবং ইসলামের
প্রতি কুঠারাঘাত। ইসলামের মৌলিক বিষয় বুঝতে হলে আল-কুরআনকে বুঝতে হবে।
আল্লাহর সম্পূর্ণ আদেশ নিষেধ, ব্যক্তি জিবন থেকে অন্তর্জাতিক জিবন পর্যন্ত
সব কিছুই আল কুরআনে আছে। কিন্তু তাবলীগের মুরুববীরা কুরআনকে আরবীতে পড়ে
অনেক ফায়দা (ফযিলত) হাসিলের দাওয়াত দিলেও আল-কুরআন কে বুঝার ব্যাপারে
সাধারণ মুসলিম ভাই বোনদেরকে নিরুৎসাহিত করেন এভাবে যে মুফতি মুফস্সীর না
হলে এবং ১৫ ভাষায় পান্ডীত্য না থাকলে কুরআন বুঝার চেষ্টা করা ঠিক নয়। অথচ
মহান রববুল আলামীন আমাদের কে তাঁর কলাম বুঝার জন্য বার বার উৎসাহীত করেছেন,
এবং তিনি বলেছেন- ‘তারা কুরআন নিয়ে কেন গবেষণা করে না, তাদের অন্তরে কি
তালা লেগে গেছে?’। (সূরা মুহাম্মদ-২৪)
সূরা কমারে ৪বার তিনি বলেন, ‘আমি বুঝার
জন্য কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি কেউ বুঝতে চায়’ অথচ আমাদের তাবলীগী মুরুবিবরা
বলেন কুরআর বুঝা সহজ নয়। এভাবে তারা অত্যন্ত সন্তরপনে সুকৌশলে মুসলিম হৃদয়
থেকে আল কুরআনকে বিদায় দিয়ে মাসজিদের মধ্যে থেকে আল-কুরআনের দারস বন্ধ করে
তাবলীগী নিসাব বা ফাযায়েলে আমালের তা‘লীম প্রতিষ্ঠা করার ইহুদী ষড়যন্ত্রে
মেতে উঠেছে। অথচ আল্লাহ তার নাবী কে মাসজিদে, ঘরে, সর্বত্র আল-কুরআন ও আল
হাদীসের তা‘লীম চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন। (সূরা জুম‘আহ-২, আহযাব-৩৪)
তারা যে কুরআন বিমুখ জামাআত তা যদি
বিশ্বাস না হয় তাহলে লক্ষ করে দেখুন মাসজিদের মিম্বারে আর মেহরাবে এখন
আল-কুরআনের পরিবর্তে তাবলীগী নিসাব দেখা যায়, এমন কি অনেক স্থানে
আল-কুরআনের উপরে মাসজিদের মধ্যে ঐ কিতাব খানা দেখেছি অনেক বার এবং নিজ হাতে
নিচেই রেখেছি। আমার কথার সত্যতা যদি যাচাই করতে চান তাহলে তাবলীগে গিয়ে
মুরুবিবদের বলুন আমার চিল্লায় শুধু কুরআনের তাফসীর এবং বুখারী শরীফের
তা‘লীম করব তাহলে আপনারা জানতে পারবেন এরা কুরআন বিমূখ জামাত কি না?
No comments:
Post a Comment