Monday, November 27, 2017

সলাতুল হাজাতের তাহক্বীক

সলাতুল হাজাতের তাহক্বীক


হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তির কোন প্রয়োজন দেখা দেয় বা সে কোন অভাবের সম্মুখীন হয় তা দ্বীন সংক্রান্ত হোক বা দুনিয়া সংক্রান্ত এবং উক্ত কাজের সম্পর্কে আল্লাহর সঙ্গে হোক বা বান্দার সঙ্গে হোক তার উচিৎ এই যে, সে যেন খুব ভাল করে অযু করে তারপর দু’ রাকআত নামায পড়ে অতঃপর আল্লাহ তা‘আলার প্রশংসামূলক দু‘আ পাঠ করে ও হুজরের (ছঃ) উপর দরূদ পড়ে নিম্নোক্ত দু‘আ পাঠ করে। ইনশা-আল্লাহ তার হাজাত নিশ্চয়ই পূর্ণ হবে।
 দোয়া এই
- لا اله الا الله الحليم الكربم.............يا الرحم الرحمين  (তাবলীগী নিসাব ফাজায়েলে নামাজ, ৫৫-৫৬ পৃষ্ঠ)
তাবলীগী নিসাবের লেখক উক্ত হাদীটির কোন গ্রন্থের নাম উল্লেখ করেননি। তথাপিও তাহক্বীক করে উক্ত হাদীস খানা কোন কোন গ্রন্থে আছে এবং তার মানও পাঠকের সামনে তুলে ধরা হল।
হাদীসটি খুবই দুর্বল : মিশকাত- ৩২৫৩, তা‘লীকুর রাগীব- ১/২৪২-২৪৩, তিরমিযী, নাসাঈ- ৩২৫৩, আবূ দাঊদ- ১৫৩৮, আহমাদ- ১৪২৯৭। ইমাম তিরমিযী বলেছেন, এ হাদীসটি গরীব। এর সানাদের ব্যপারে সমালোচনা আছে। সানাদে ফায়িদ ইবনু  আবদুর রহমান হাদীসে দুর্বল। মুলতঃ সে খুবই দুর্বল। ইমাম হাকিম বলেছেন, সে ইবনু আবী আওযন সূত্রে বানোয়াট হাদীস বর্ণনা করে। মিশকাতঃ তাহক্বীক্ব আলবানী : ডঃ মুস্তফা মুহাম্মাদ হুসাইন বলেন, ফায়িদ ইবনু ‘আব্দুর রহমান মাতরূক। তাখরীজ ডঃ মুস্তফা মুহাম্মাদ হুসাইন। গৃহীত যঈফ সুনানে ইবনে মাজাহ ১৩৫ পৃষ্ঠা ও ২৪৫ নং টীকা দ্রষ্টব্য।
সম্মানিত মুসলিম ভ্রাতৃমন্ডলী- তাবলীগী নিসাবের উল্লেখিত দু‘আ সম্বলিত হাদীসটি দুর্বল হলেও এ সংক্রান্ত সহীহ হাদীসও আছে। আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের (সাঃ) নির্দেশনায় আমরা দেখতে পাই কোন অবৈধ বা হারাম পথের দ্বার রুদ্ধ করতে চাইলে হালাল ও বৈধ পথটি বলে দেন। যেমন মহান আল্লাহ বলেন :

{يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ لاَ تَقُولُواْ رَاعِنَا وَقُولُواْ انظُرْنَا}

 হে ঈমানদার! তোমরা ‘রাঈনা বলো না, বরং ‘উনযুরনা বলো। (বাক্বারাহ : ১০৪)
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা অত্র আয়াতে একটি শব্দ বলতে নিষেদ করার সাথে সাথে তার পরিবর্তে অন্য আরেকটি শব্দ ব্যবহারের দিকনির্দেশনা প্রদান করে দিলেন, রসূলের সুন্নাতেও এ ধরনের অনেক উধাহরণ পাওয়া যায় কলেবর বৃদ্ধির ভয়ে উল্লেক করলাম না। হাদীসের পাঠকগণ এ বিষয় ওয়াকীফহাল। অতএব উল্লিখিত মূলনীতির আলোকে আমরা পাঠকের সামনে صلاة الحاجة সলাতুল হাজাত বা প্রয়োজন পূরণের সলাত সংক্রান্ত সহীহ হাদীসটি তুলে ধরলাম।
‘‘সঙ্গত কোন প্রয়োজন পূরণের জন্য বান্দা স্বীয় প্রভুর নিকটে নিম্নের তরীকায় সলাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করবে। ইমাম আহমাদ (রহ.) সহীহ সনদে আবূদ দারদা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন,

من توضأ فاسبغ الوضوء ثم صلى ركعتين يتمها  أعطا الله ما سأه معحلا اومؤخرا (رواه الحمد)

‘‘যে ব্যক্তি ভালভাবে ওযূ করল। অতঃপর পূর্ণভাবে দু‘ রাক‘আক সলাত আদায় করল। আল্লাহ তাকে দান করবেন যা সে প্রাথনা করবে, দ্রুত অথবা দেরীতে।  (মুসনাদে আহমাদ, ফিকহুস সুন্নাহ ১/১৫৯, গৃহীত সলাতুর রসূল (সাঃ) ১৩৫ পৃষ্ঠা)

No comments:

Post a Comment

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ