Monday, November 27, 2017

‘ইলমে গায়িব বা অদৃশ্যের জ্ঞান

‘ইল্মে গায়িব বা অদৃশ্যের জ্ঞান


‘‘শায়েখ আবু ইয়াকুব ছনুছী (রহঃ) বলেন, আমার একজন মুরীদ আমার নিকট আসিয়া বলিল আমি আগামী কাল জোহরের সময় মরিয়া যাইব। তাহার কথা মত অপর দিন জোহরের সময় সে হারাম শরীফে আসিল ও তওয়াফ করিল এবং কিছু দূরে গিয়া মরিয়া গেল। আমি তাহকে গোছল দিলাম ও দাফন করিলাম। যখন তাহাকে কবরে রাখিলাম তখন সে চোখ খুলিল। আমি বলিলাম মউতের পরেও কি জীবিত থাকা যায় না কি? সে বললি আমি জীবিত আছি এবং আল্লাহর প্রতিটি প্রেমিকই জীবিত থাকেন।’’   ([রওজ] ফাজায়েলে সাদাকাত বাংলা ২য় খন্ড-২৭০ পৃঃ)
‘‘জনৈক বুজুর্গ বলেন,
আমি একজন মুর্দাকে গোছল দিতে ছিলাম। সে আমার বৃদ্ধাঙ্গুলি ধরিয়া ফেলিল, আমি বলিলাম ছাড়িয়া দাও। আমি জানি যে তুমি মর নাই। সে ছাড়িয়া দিল। বিখ্যাত বুজুর্গ এবনুল জালা (রহঃ) বলেন, আমার পিতার যখন এন্তেকাল হয় তাঁহাকে গোছল দিবার জন্য তখতির উপর রাখিতেই তিনি হাসিয়া উঠেন। ইহা দেখিয়া আর কাহাও গোছল দিতে সাহস হইল না। অতঃপর তাঁহার জনৈক বুজুর্গ বন্ধু আসিয়া তাঁহাকে গোছল দিলেন। মৃতুর পরও আনন্দ করার এইরূপ অনেক ঘটনা ছাহেবুর রওজ বর্ণনা করিয়াছেন।’’
 (ফাজায়েলে সাদাকাত বাংলা ২য় খন্ড-২৭০ পৃঃ)
দ্বিতীয় আর একটি ঘটনা যা এর সাথে হুবহু মিল আছে :
‘‘আবূ আলী রোদবারী (রহঃ) বলেন, ঈদের দিন একজন ফকির আসিয়া আমাকে বলিল এখানে এমন কোন পরিস্কার জায়গা আছে কি? যেখানে কোন ফকির মরিতে পারে। আমি তাহাকে বাজে কথা মনে করিয়া বলিলাম আস ভিতরে আসিয়া যেখানে ইচ্ছা সেখানে মর। সে ভিতরে আসিয়া অজু করিয়া কয়েক রাকাত নামাজ পড়িল ও মরিয়া গেল। আমি তাহার কাফন দাফনের ব্যবস্থা করি। দাফনের পর আমার খেয়াল হইল দেখতে হবে কাফন হটাইয়া তাহার মুখ খুলিতেই সে চোখ খুলিয়া ফেলিল। আমি বলিলাম মৃত্যুর পরেও জীবন? সে বলিল আমি জীবিত ও আল্লাহর প্রত্যেক আশেকই জীবিত থাকেন। আমি কাল ক্বেয়ামতে স্বীয় প্রতিপত্তিতে তোমার সাহায্য করিব। (ফাজায়েলে সাদাকাত ২য় খন্ড- ২৮০ পৃঃ)
পাঠকবৃন্দ! চিন্তা করে দেখুন যে, এ কিস্সাদ্বয় দ্বারা কিভাবে কুরআন হাকীমের ইনকার অস্বীকার অত্যাবশ্যকীয় বা অপরিহার্য হয় বা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন :
{إِنَّ اللهَ عِنْدَهُ عِلْمُ السَّاعَةِ وَيُنَزِّلُ الْغَيْثَ وَيَعْلَمُ مَا فِي الأَ<رْحَامِ وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ مَاذَا تَكْسِبُ غَداً وَمَا تَدْرِي نَفْسٌ بِأَيِّ أَرْضٍ تَمُوتُ إِنَّ اللهَ عَلِيمٌ خَبِيرٌ}
‘‘নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছেই ক্বিয়ামাতের জ্ঞান রয়েছে। তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং গর্ভাশয়ে যা থাকে তিনি তা জানেন। কেউ জানে না  আগামীকল্য সে কি উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন জায়গায় সে মৃত্যুবরণ করবে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে সম্যক জ্ঞাত।’’  (সূরা লুক্বমান ৩৪)
সহীহ বুখারীতে আছে যে, রসূলুল্লাহ (সাঃ) উক্ত আয়াত তিলাওয়াত করে তার ব্যাখ্যায় বলেন :
{لاَ يَعْلَمُهُنَّ اِلاَّ الله}
‘‘এসব গায়িবের কথা, এগুলো আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। কিন্তু তাবলীগী নিসাবের উপরোক্ত ঘটনা দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, একজন মুরিদ এই কথা বলল আগামী দিন যুহরের সময় মরে যাব, আর হলও তাই। সে মুরিদ দ্বিতীয় দিন যুহরের সময় মারা গেল। যেন আগামীদিনের ‘ইল্ম বা জ্ঞান ঐ মুরিদের ছিল। দ্বিতীয় ঘটনায় বর্ণনা করা হয়েছে যে, একজন ফকীরের মৃত্যু জ্ঞান পূর্ব থেকেই ছিল। সে তার নিজের মৃত্যুর জন্য নিজেই জায়গা নির্ধারণ করে নিল এবং যথাস্থানে মরল। এছাড়া দু’টি ঘটনায় এটাও আছে যে, মৃত্যুর পরেও চক্ষু খুলল, কথা বলল এবং বলল, আমি জীবিত এবং আল্লাহর প্রত্যেক বান্দা জীবিত থাকে। শুধু কি তাই শাইখুল হাদীস লিখেছেন, ‘‘জনৈক বুযুর্গ বলেন, আমি একজন মুর্দাকে গোসল দিচ্ছিলাম, সে আমার বৃদ্ধাঙ্গুলি ধরে ফেলিল, আমি বলিলাম, ছাড়িয়া দাও। আমি জানি যে তুমি মর নাই এটা এক ঘর থেকে অন্য ঘরে স্থানান্তর। সে ছেড়ে দিল।’’    (ফাজায়েলে সাদাকাত ২৭০)
পাঠকবৃন্দ! লক্ষ্য করুন, দ্বীন ইসলামে রিওয়ায়াত বর্ণনা করার পদ্ধতি কি এমন? যে জনৈক বুযুর্গ বলেছেন’ অথচ তার নাম নিশানা পর্যন্ত নেই। শেষ পর্যন্ত রিওয়ায়াত বা বর্ণনা করার জন্য কোন উসূলতো বা মূলনীতি থাকা দরকার। পরবর্তীতে আরও লিখেছেন :
‘‘বিখ্যাত বুযুর্গ ইবনুল জালা (রহ:) বলেন, আমার পিতার যখন এন্তেকাল হয় তাঁহাকে গোছল দিবার জন্য তখতির উপর রাখিতেই তিনি হাসিয়া উঠেন। ইহা দেখিয়া আর কাহারও গোছল দিতে সাহস হইল না। অতঃপর তাঁহার জনৈক বুজুর্গ বন্ধু আসিয়া তাঁহাকে গোছল দিলেন। মৃত্যুর পরও আনন্দ করার এইরূপ অনেক ঘটনা ছাহেবুর রওজ বর্ণনা করিয়াছেন।’’  (ফাজায়েলে সাদাকাত ২য় খন্ড- ২৭০)
এ ঘটনা তাবলীগী নিসাবে স্পষ্টত উল্লেখ করা হয়েছে। এর সত্যায়নকারী শাইখুল হাদীস যাকারিয়া। বড়ই আফসোস ও পরিতাপের বিষয় এই ঘটনাগুলির প্রমাণাদিও যদি কুরআন হাদীস থেকে দিত! পাঠক এই ঘটনাগুলি মান্য করলে কুরআনুল কারীমকে সরাসরি অস্বীকার করার মত দৃষ্টতা প্রদর্শন নয় কি? মালিকুল মুল্ক (রাজাধিরাজ) মহান আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ
{إِنَّكَ لا تُسْمِعُ الْمَوْتَى وَلا تُسْمِعُ الصُّمَّ الدُّعَاءَ إِذَا وَلَّوْا مُدْبِرِينَ}
‘‘হে নাবী! আপনি আহবান (কথা) শুনাতে পারবেন না মৃতদেরকে।’’  (সূরা আল-নামল ৮০)
অর্থাৎ যারা কবরস্থ হয়ে গেছে, তাদেরকে আপনি শুনাতে পারবেন না। আল্লাহর নাবী (সাঃ) মুর্দাদের শুনাতে পারেন না। কিন্তু বর্তমানে কোন কোন বুযুর্গ মুর্দাদের শুধু শুনাচ্ছে না, উপরন্তু তাদের সাথে কথোপকথন হচ্ছে এবং মুর্দাও খুব অদূভত মুর্দা সে জিন্দার সঙ্গে কৌতুকও করে এবং হাসি-তামাশাও করে। আর আঙ্গুলও ধরে তারপর যখন এ কথা শুনে যে, ‘তুমি মর নাই’ তখন আঙ্গুল ছেড়ে দেয়।
মহান আল্লাহ বলেন,
{وَمَا يَسْتَوِي الأَ<حْيَاء وَلاَ الأَ<مْوَاتُ}
‘‘আর সমান নয় জীবিত ও মৃত।’’ (সূরা আল-ফাতির ২২)
কিন্তু এখানে জীবিতও কথা বলে এবং মৃতও কথা বলে। জিন্দাও জীবিত এবং মুর্দাও জীবিত অর্থাৎ উভয়েই সমান। পাঠক আপনারা বিবেকের কষ্টি পাথরে বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখুন, এরূপ আক্বীদাহ কি উপরোক্ত আয়াতে রাববানীর বিরুদ্ধে নয়? আর কুরআন বিরোধী আক্বীদাহ কি শির্ক নয়? জেনে শুনে শির্কে বিশ্বাসীরা কি মুশরিক নয়? আর যারা উক্ত নিসাবের দা‘ওয়াত দেয়, তারা কি শির্কের দিকে আহবানকারী নয়? যে শির্ক সমূলে উৎপাটিত করার জন্য প্রথম নাবী আদম (‘আ.) থেকে শুরু করে শেষ নাবী মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ (সাঃ) পর্যন্ত সকলকেই আল্লাহ রাববুল আলামীন আমাদের মাঝে প্রেরণ করেছেন, আমাদের শির্কমুক্ত জীবন পরিচালনা করার জন্য। অথচ আমরা দেখতে পাচ্ছি সেই শির্কের দিক নিদের্শনাপূর্ণ বিষয়। এটাই শেষ নয়, শাইখুল হাদীস (রহ.) আরো লিখেছেন নিম্নোক্ত ঘটনা তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ :

মৃত্যুর পরেও দান

‘‘আরবের একটি জমাত কোন এক বিখ্যাত দাতার কবর জেয়ারত করিতে যায়। দূরের পথ ছিল তাই সেখানেই তাহারা রাত্রি যাপন করিল। তন্মধ্যে এক ব্যক্তি সেই কবরওয়ালাকে স্বপ্নে দেখিল যে তিনি বলিতেছেন তুমি আমার বখতি উটের পরিবর্তে তোমার উট বিক্রি করিতে পার? (বখতি উট শ্রেষ্ঠ উটকে বলা হয় যাহা মৃত ব্যক্তি ত্যাজ্য সম্পত্তি হিসাবে রাখিয়া গিয়াছিল) লোকটি ঘুমের মধ্যে রাজী হইল ও বেচা বিক্রি ঠিক হইয়া গেল। নিদ্রা হইতে জাগিয়াই দেখে যে তাহার উটের রক্ত প্রবাহিত হইতেছে। উটটি বাঁচার আশা না দেখিয়া সে নিজেই উট জবেহ করিয়া দিল ও সাথীদের সবাইকে গোশ্ত বন্টন করিয়া দিল। খাওয়া দাওয়ার পর তাহারা রওয়ানা হইয়া যখন সামনের মঞ্জিলে পৌঁছিল তখন বখ্তি উটে ছওয়ার হইয়া এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করিল তোমাদের মধ্যে অমুক ব্যক্তি আছে কি? খাবওয়ালা বলিল ইহাত আমার নাম। সে বলিল আপনি কি বকরওয়ালার নিকট কিছু বিক্রি করিয়োছেন? তিনি স্বপ্নের ঘটনা তাহাকে শুনাইলেন। লোকটি বলিল সেটা আমার পিতার কবর ছিল। তিনি স্বপ্নযোগে আমাকে জানাইয়াছেন তুমি যদি আমার আওলাদ হও তবে আমার বখতি উট অমুক নামের ব্যক্তিকে দিয়া দিও। এই বলিয়া সে উট দিয়া চলিয়া গেল। ছাখাওয়াতের ইহাই হইল চরম সীমা, কবরে থাকিয়াও শ্রেষ্ঠ উট বিক্রি করিয়া মেহমানদারী। তবে এই প্রশ্ন অবান্তর যে ইহা কি করিয়া হতে পারে? কেননা আলমে রুহে এইরূপ ঘটনা সংঘটিত হওয়া সম্ভব।’’  (ফাজায়েলে সাদাকাত ২য় খন্ড-৩১৮ পৃঃ)
পাঠক মহোদয়! ঘটনাটি পুনরায় পড়ুন এবং কুরআন হাদীসের সমাধানের দিকে একটু লক্ষ্য করুন। উক্ত ঘটনা কুরআন হাদীস অস্বীকার করার জন্য যথেষ্ট নয় কি? যখন কুরআন এবং হাদীসের সমন্বিত বা সম্মিলিত মীমাংসা ফায়সালা এই যে, মৃত্যুর পর কেউ এ ধরাতে আর ফিরে আসতে পারে না। শহীদ, যে সাধারণ মুর্দার উপর শ্রেষ্ঠত্ব রাখে, তাকেও দুনিয়াতে পুনরায় প্রত্যাবর্তন করার অনুমতি প্রদান করা হয় না। যদিও সে শাহাদাতের তামান্নায় (আকাঙ্ক্ষায়) দুনিয়াতে বার বার ফিরে আসতে চায়। সহীহ মুসলিমে বর্ণিত আছে, মহান আল্লাহ তিনবার শহীদকে জিজ্ঞেস করেন, তোমার আর কোন কামনা বা বাসনা আছে কি? তোমরা কি কোন কিছুর আকাঙ্ক্ষা কর?
উত্তরে শহীদগণ বলবে :
يا رب نريد ارواحنا في اجسادنا حتى نقتل في سبيلك مرة أخرى فلما رآى ان ليس لهم حاجة تركوا (صحيح مسلم)
‘‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের আকাঙ্ক্ষা এই যে, আপনি আমাদের রূহ্কে পুনরায় আমাদের শরীরে ফিরিয়ে দিন, যেন আমরা পুনরায় কতল হই। যখন আল্লাহ দেখবেন এদের কোন অভিলাষ নেই তখন জিজ্ঞেস করা ছেড়ে দিবেন।’’   (সহীহ মুসলিম- কিতাবুল ঈমান)
জাবির (রাযি.)-এর পিতা আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করেছিলেন :
يارب يحيينى فاقتل فيك ثانية
‘‘হে প্রতিপালক! আমাকে জীবিত করে দিন যেন আমি দ্বিতীয়বার শহীদ হতে পারি।’’ আল্লাহ বলেন :
إنه قد سبق منى انهم لايرجعون (ترمذى ابواب تفسير القران سنده حسن)
‘‘আমার পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত প্রথমেই হয়ে গেছে যে, দুনিয়াতে পুনঃপ্রত্যাবর্তন করতে পারবে না।’’    (তিরমিযী, তাফসীর অধ্যায়)
সুপ্রিয় পাঠক! ভেবে দেখুন, দুনিয়াতে আসার অনুমতিই যদি না থাকে তাহলে উক্ত বুযুর্গ কি করে দুনিয়াতে এসে উট যবাহ করেন এবং কিভাবে মেহমানকে দা‘ওয়াত করেন। রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন :
إذا مات الإنسان انقطع عنه عمله الا من ثلاثة من صدقة جارية أو علم ينتفع به أو ولد صالح يدعوله
অর্থাৎ ‘‘যখন কোন মানুষ মারা যায়, তখন তার ‘আমালনামা বন্ধ হয়ে যায় তিনটি ক্ষেত্র ব্যতীত :
(১) সদাকায়ে জারিয়া।
(২) ‘ইল্ম, যার দ্বারা অন্যের উপকার হয় এবং
(৩) নেক সন্তান যে, তার জন্য দু‘আ করে।’’ (সহীহ মুসলিম)
মোটকথা ‘আমালের সিলসিলা যখন বন্ধ হয়ে গেছে, এমতাবস্থায় উক্ত মুর্দা কিভাবে উট যবহ করে এবং কিভাবে মেহমানদারী করে? বলা হয়েছে, এটা আলমে আরওয়াহ অর্থাৎ রূহের জগতের ব্যাপার। কিন্তু পাঠকগণ, একটু ভেবে দেখুন এটা কোথাকার ঘটনা? আরবের ঐ জামা‘আত কি আলমে আরওয়াতে গিয়েছিল? আর উটের গোশ্ত তারা আলমে আরওয়ায় বসে খেয়েছে কি? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর কি এটাই যে, কথাটা শাইখুল হাদীস লিখেছে। সুতরাং সহীহ হবে (?) পাঠক বলুন, এই উত্তর কি ঠিক? এই জাতীয় আর একটি ঘটনার দিকে আপনাদের মনোযোগ আকর্ষণ করছি।

No comments:

Post a Comment

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ