Monday, November 27, 2017

তাবলীগী নিসাব কর্তৃক একটি পরিভাষা এবং শারী‘আতে তার স্থান

তাবলীগী নিসাব কর্তৃক একটি পরিভাষা এবং শারী‘আতে তার স্থান


রুহুল বয়ানে আবদুল্লাহ বিন ওমর (রঃ) হইতে বর্ণিত আছে, হুজুর (ছঃ) বলেন, আমার উম্মাতের মধ্যে সব সময় পাঁচ শত বিশিষ্ট অলী ও চল্লিশ জন আবদাল থাকেন। তন্মধ্যে কেউ মারা গেলে অন্য একজন তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। ছাহাবারা তাদের বিশিষ্টি আমালের কথা জিজ্ঞাসা করিলে হুজুর (ছঃ) বলেন, তাহারা অত্যাচারীকে ক্ষমা করিয়া দেয়, দুর্ব্যবহারকারীদের প্রতি সদ্ব্যবহার করে ও
আল্লাহ প্রদত্ত রিজিক দ্বারা অন্যের সহিত সহানুভুতি করে। (তাবলীগী নিসাব, ফাজায়েলে রমজান ১৭ পৃঃ, সংশোধিত সংস্করণ, ১৮ মার্চ , ২০০৩ইং তাবলীগী কুতুবখানা চকবাজার ঢাকা- ১২১১)
পাঠক! গাউস কুতুব এগুলো সূফীদের একটি পরিভাষা। আর প্রচলিত তাবলীগী জামা‘আতের জনক ইলিয়াস ও তার ভাতিজা উভয়ে সূফী ছিলেন এই নিসাবে এ ধরনের পরিভাষা আপনারা অনেকে স্থানে পাবেন। এ পরিভাষাটির সঙ্গে ইসলামের কতটুকু সম্পর্ক এবার লক্ষ্য করা যাক।
এ মর্মে শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনু তাইমিয়া (রহ.)-কে ফাতওয়া জিজ্ঞেস করলে তদুত্তরে তিনি বলেন : এই ব্যাপারে লোকেদের মধ্যে অনেক দলই, গাউস, কুতুবের সমর্থক। তারা তাদের বিশ্বাসের যে ব্যাখ্যা দিয়ে থাকে তা সম্পূর্ণ বাতিল, দ্বীন ইসলাম তথা ইসলামের মূল উৎস কুরআন ও সহীহ হাদীসে কোন সমর্থন মিলে না। দৃষ্টান্ত পেশ করছি : কতক লোকে এ ধারণা পোষণ করে থাকে যে, গাউস এমন এক সত্তা যার মাধ্যমে আল্লাহর সৃষ্ট জীবসমূহের রিযক অর্থাৎ জীবিকা অর্জিত হয়ে থাকে। আর তাদের সাহায্যে দুশমনের বিরুদ্ধে সহায়তা অর্জিত হয়ে থাকে। এমনকি উর্ধ্বলোকের ফেরেস্তা এবং পানির গর্ভে সঞ্চায়মান মৎসসমূহও তার ওয়াসীলাতেই সাহায্য লাভ করে থাকে। জেনে রাখা প্রয়োজন যে, এটা এমন এক কথা যা নাসারাগণ ঈসা (‘আ.) সম্বন্ধে বিশ্বাস পোষণ করে থাকে আর রাফিযীরা (গালিয়াগণ) আলী (রাঃ) সম্বন্ধে এধরনের বিশ্বাস পোষণ করে। আর এ হচ্ছে সুস্পষ্ট কুফর। যারা এরকম গোমরাহীর কথা বলবে তাদেরকে বলতে হবে, তাওবাহ কর। যদি তাওবাহ করে ভাল। কিন্তু জীবসমূহের মধ্যে, কোন মানুষের বা অন্য কিছুর ওয়াসীলায় আল্লাহর কোন সৃষ্টি জীবের সাহায্য লাভ হয় না। এধরনের কথা মুসলিমদের সর্বসম্মত রায় অনুসারে কুফরের পর্যায়ভুক্ত। কতক লোক বলে থাকে যে, পৃথিবীতে ৩১০ জনের কিছু বেশি এমন সত্তার অস্তিত্ব রয়েছে, যাদেরকে বলা হয় নুজাবা (নজীব)। এদের মধ্যে বেছে ৭০ জনকে নির্বাচিত করা হয় যাদের বলা হয় নুকাবা (নকীব)। এই ৭০ জনের মধ্যে ৪০ জন এমন পুরুষ যাদের বলা হয় আবদাল। আবার তাদের মধ্যে রয়েছে ৭ জন আকতাব (কুতুব)। এই ৭ জনের মধ্যে আছেন ৪ জন, যাদের বলা হয় আওতাদ, অতঃপর ঐ ৪ জনের মধ্যে আছে এক ব্যক্তি সত্ত্বা যার নাম গাউস, তিনি অবস্থান করেন মক্কা মু‘আয্যামায়। দুনিয়ার বাসিন্দাদের উপর যখন খাদ্য অথবা অন্য কোন ব্যাপারে কোন বালা-মুসীবত নাযিল হয়ে যায়, তখন তারা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে বিপদ নিরসনের জন্য প্রথমোল্লেখিত নুজাবাদের দিকে প্রত্যাবর্তিত হয়, যাদের সংখ্যা ১৩০ জনের কিছু উপরে। অতঃপর নুজাবাগণ ৭০ জন নুকাবার দিকে, সেই ৭০ জন নুকাবা ৪০ জন আবদালের দিকে, তারা আবার ৭ জন আকতাবের নিকট, তারা পুনরায় ৪ জন আওতাদের নিকট এবং সর্বশেষ তারা তাদের সর্বোচ্চ ব্যক্তি-সত্তা গাউসের দিকে ধাবিত হয়। কতক লোক উল্লিখিত সংখ্যা নাম এবং পদমর্যাদার মধ্যে কিছু কম-বেশী পার্থক্য করে থাকে। কেননা তাদের সম্বন্ধে বহু রকম উক্তি শুনতে পাওয়া যায়। বহু অদ্ভুত এবং উদ্ভট কথাও তাদের সম্বন্ধে প্রচারিত হয়ে থাকে। কেউ বলে গাউস এবং যুগের খিযর (‘আ.)’র নামে আসমান থেকে মাক্কা মু‘আয্যামায় একটা সবুজ পত্র অবতীর্ণ হয়ে থাকে। এ ধারণা ঐসব লোক পোষণ করে থাকে যাদের বিশ্বাস হচ্ছে এ যে, খিযর বিলায়েতের একটি পর্যায়। তাদের মতে প্রত্যেক যুগে একজন করে খিয্র থাকেন। খিয্র সম্বন্ধে তাদর দু’রকম কথা শুনতে পাওয়া যায়, আর এগুলো সমস্তই বাতিল, প্রত্যাখ্যাত এবং গ্রহনের অযোগ্য। কেননা, আল্লাহর কিতাব কুরআন মাজীদে এবং রসূলুল্লপহ (সাঃ) এর সুন্নাতে এর কোন ভিত্তি নেই। সালফে সালেহীনের মধ্যে কেউ এধরণের কথা বলে যাননি। এধরনের কথা না বলেছেন শারী‘আতের কোন ইমাম, না পূর্বের যুগের মা’আরেফাতের কোন বড় মাশাইখ। একথা কে না জানে যে, সৃষ্ট জীব তথা মানুষ্যকুলের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ যে সত্তা সেই মুহাম্মাদ রসূলুল্লাহ (সাঃ) এবং তাঁর শ্রেষ্ঠ চার শিষ্য সিদ্দিকে আকবার , ফারূকে আযম, উসমান যুননুরাইন এবং আমীরুল মু’মিনীন আলী (রাঃ) ছিলেন নাবীদের পর মর্যাদায় শ্রেষ্ঠ, কিন্তু এরা সবাই মাক্কা ছেড়ে মাদ্বীনায় অবস্থান করে গেছেন। এদের মধ্যে কেউই (হিজরতের পর থেকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের পূর্বে পর্যন্ত) মক্কায় বসবাস করেননি। কেউ কেউ মুগীরা ইবনে শু’বার গোলাম হেলাল সম্বন্ধে বলে থাকে যে, তিনি ৭৭জন কুতুবের একজন ছিলেন, তারা এর সমর্থনে একটি হাদীসও পেশ করে থাকে। কিন্তু সেই হাদীস, বিশরদের সর্বসম্মত হাদীসশাস্ত্র মতে বাতিল। এ ধরনের কতিপয় হাদীস যদিও আবূ নায়ীম (রহ.) হিলিয়াতুল আউলিয়া গ্রন্থে উক্ত হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। তার দ্বারা ধোঁকায় পড়া এবং নিজেদেরকে বিভ্রান্তিতে ফেলা উচিৎ নয়। কেননা তাদরে সংলিত গ্রন্থে একদিকে যেমন সহীহ এবং হাসান হাদীস সঙ্কলিত হয়েছে তেমনই তাতে যঈফ, মাওযু এবং মিথ্যা হাদীসও স্থান পেয়েছে। যেগুলোর প্রক্ষিপ্ত হওয়ার ব্যাপারে হাদীস বিজ্ঞ আলিমদের মধ্যে কোনই মতভেদ নেই। হাদীস সঙ্কলকগণ যেরূপ রিওয়ায়াত শ্রবণ করেছেন, ঠিক সেরূপই লিপিবদ্ধ করেছেন। তাঁরা কোন রিওয়ায়াত সহীহ, কোনটি বাতিল সেসব বিচার-বিবেচনা করার ও পরীক্ষা করে দেখার প্রয়োজন বোধ করেননি। অপর পক্ষে সত্যনিষ্ঠ মুহাক্কিক মুহাদ্দিসগণ কখনই এরূপ করতেন না। তারা হাদীস পরীক্ষা করে দেখতেন এবং তাঁদের বিচার যেগুলো মাওযু, জাল এবং বাতিল বলে সাবস্ত হতো তারা রিওয়ায়াত করতেন না। কারণ তাঁরা সহীহ বুখারীতে রসূলের এ হাদীস সম্পর্কে ওয়াকিফহাল ছিলেন যাতে বলা হয়েছে :

من حدث عنى بحديث وهو يرى أنه كذب فهو احد الكاذبين

‘‘যে ব্যক্তি এমন এক হাদীস রেওয়ায়াত করে যে হাদীস সম্পর্কে তার ধারণা এই যে, তা মিথ্যা, সে ব্যক্তি মিথ্যাবাদীদের অন্যতম’’ মোটকথা প্রত্যেক মুসলিমই জানে যে, বঞ্চিত কোন বস্ত্তর জন্য একমাত্র আল্লাহর কাছে আবেদন জানাতে হয় অথবা আসমানী কোন বালা মুসীবত যখন নাযিল হয়, তখনই সেই ভয় ও বিপদ থেকে উদ্ধারের জন্য আল্লাহর নিকট নিবেদন করতে হয়। দৃষ্টান্ত স্বরূপ বলা হয়, বৃষ্টির যখন একান্ত প্রয়োজন তখন বৃষ্টি না হলে তারা ইসতিস্কার সলাত পড়ে (সময়মত শষ্য উৎপাদনের জন্য) পানি বর্ষণের প্রার্থনা জানায়। আর চন্দ্র গ্রহণ, সূর্য গ্রহণ, সাইক্লোন, ভূমিকম্প, কুঝটিকায় (অথবা ট্রেন, বাস জাহাজ, নৌকা প্রভৃতির দুর্ঘটনায়) বিপদ থেক উত্তরণের জন্য মুসলিম একমাত্র একক লা-শারীক আল্লাহর শরণাপন্ন হয়ে থাকে। তাকেই তারা একমাত্র বিপত্তারণকারী বলে বিশ্বাস করে। জীবন ও সম্পদ রক্ষার জন্য একমাত্র তাঁরই উপর ভরসা রেখে তাঁকেই আকুল হৃদয়ে কাতর স্বরে ডাকতে থাকে। তখন তারা অপর কাউকেই তারা ডাকে না। আর প্রকৃত কথা এই যে, কোন মুসলিমের জন্য এটা সিদ্ধ নয় যে, নিজের কোন অভাব মিটান ও প্রয়োজন সিদ্ধির জন্য আল্লাহ ছাড়া অপর কাউকে মাধ্যম রূপে পাওয়ার নিমিত্ত এদিক সেদিক ধর্ণা দেয়। তার পক্ষে এটাও মোটেই কাম্য নয় যে, ইসলাম গ্রহণ ও তাওহীদ বরণের পর এ ধারণা পোষণ করে যে, কোন নির্দিষ্ট মাধ্যম ছাড়া (কুরআন ও হাদীসে যার কোনই দলিল নেই) তাদের দু‘আ কবুল হতে পারে না। এ প্রসঙ্গে কুরআন মাজীদে নিম্নোক্ত আয়াতগুলো বিশেষভাবে লক্ষ্যযোগ্য।
আল্লাহ বলেন,

{وَإِذَا مَسَّ الأِنْسَانَ الضُّرُّ دَعَانَا لِجَنْبِهِ أَوْ قَاعِداً أَوْ قَائِماً فَلَمَّا كَشَفْنَا عَنْهُ ضُرَّهُ مَرَّ كَأَنْ لَمْ يَدْعُنَا إِلَى ضُرٍّ مَسَّه}

‘‘যখন মানুষের উপর কোন ক্ষতিকর কিছু আপতিত হয়, তখন সে শায়িত উপবিষ্ট অথবা দন্ডায়মান অবস্থায় আমার নিকট আহবান জানায়। (কিন্তু) যখন আমি তার উপর আপতিত ক্ষতিকর বস্ত্তটি অপসারিত করে দেই, তখন সে এমনভাবে চলা ফেরা করে যেন তার উপর আপতিত ক্ষতিকর বস্ত্তর আপসারণের জন্য আমার নিকট কোন আহবানই সে জানায়নি।      (সূরা ইউনুস ১২, বানী ইসরাঈল ৬৭)
রুহুল বয়ানে আবদুল্লাহ বিন ওমর (রঃ) হইতে বর্ণিত আছে, হুজুর (ছঃ) বলেন, আমার উম্মাতের মধ্যে সব সময় পাঁচ শত বিশিষ্ট অলী ও চল্লিশ জন আবদাল থাকেন। তন্মধ্যে কেউ মারা গেলে অন্য একজন তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। ছাহাবারা তাদের বিশিষ্টি আমালের কথা জিজ্ঞাসা করিলে হুজুর (ছঃ) বলেন, তাহারা অত্যাচারীকে ক্ষমা করিয়া দেয়, দুর্ব্যবহারকারীদের প্রতি সদ্ব্যবহার করে ও আল্লাহ প্রদত্ত রিজিক দ্বারা অন্যের সহিত সহানুভুতি করে। (তাবলীগী নিসাব, ফাজায়েলে রমজান ১৭ পৃঃ, সংশোধিত সংস্করণ, ১৮ মার্চ , ২০০৩ইং তাবলীগী কুতুবখানা চকবাজার ঢাকা- ১২১১)
মুসলিম ভাই ও বোনেরা! উল্লিখিত হাদীসটি য‘ঈফই নয় বরং মাওযু, অর্থাৎ রসূরের নামে বানানো জাল হাদীস। লেখক ও অনুবাদক সংশোধিত সংস্করণেও বিনা তাহক্বীকে বর্ণনা করেছেন, আল্লামাহ ইবনুল জাওযী (রহ.) স্বীয় কিতাব আল মাওযূয়াতে ৩য় খন্ডে ১৫১ ও ১৫২ পৃষ্ঠায় উপরোক্ত হাদীস এবং এজাতীয় অন্য হাদীসের উল্লেখ করে লিখেছেন :

فكثير من رجالل مجاهيل ليس فيهم معروف و كذلك حديث

অর্থাৎ এ হাদীস সমূহের বেশীর ভাগ অপ্রসিদ্ধ এবং মাযহুল রাবী আর ঐ একই অবস্থা ইবনে ওমর এর হাদীসেরও। (কিতাবুল মওযুয়াত ৩য় খন্ড ১৫১- ১৫২)
আল্লামাহ ইবনুল কাইয়ুম (রহ.) বলেন :

احاديث الابدال ولا قطاب الاغواث و لنقباء ونجبا و لاوتاد كلها باطلة على رسول الله .

অর্থাৎ আবদাল, কুতুব, গওস, নকীব, নাযিব এবং আওতাদওয়ালা সমস্ত বর্ণনা বাতিল এবং নাবী (সাঃ)’র উপর মিথ্যাআরোপ।

المنار المتيف فى الصحح والضعيف ৩০৭-১৩৬)

হাদীসটি এ দৃষ্টিকোনেও বানাওয়াট প্রমাণিত হয় যে, নাবী (সাঃ)’র সাহাবাগণ এর সংখ্যা পাঁচশ থেকেও অনেক বেশি ছিল যারা সকলেই আল্লাহর বিশিষ্ট বান্দা ছিল। হুদাইবিয়ার সময় চৌদ্দ পনেরশ’ সাহাবা কিরাম (রাযি.) নাবী (সাঃ)’র সঙ্গে ছিল। যাদের উপর আল্লাহর সন্তুষ্টির কথা আল-কুরআনে আল্লাহ নিজেই ঘোষণা দিয়েছেন,

{لَقَدْ  رَضِيَ اللهُ  عَنِ  الْمُؤْمِنِينَ  إِذْ يُبَا يِعُونَكَ  تَحْتَ الشَّجَرَةِ}

‘‘আল্লাহ মু’মিনদের প্রতি সন্তুষ্টি হলেন, যখন তারা বৃক্ষের নীচে আপনার কাছে শপথ করল।’’ (আল ফাতহ্ : ১৮)
তাবলীগী ভাইয়েরা! যদি এই হাদীসকে সহীহ মেনে নেয়া হয় তাহলে এ (যামানায়) যুগে পাঁচশত বিশিষ্ট বান্দা হবে এবং সাহাবাদের যুগেও পাঁচশত আল্লাহর বিশেষ বান্দা ছিল। তাহলে সাহাবদের যুগে যে সমস্ত সাহাবীগণ (রাযি.) ছিল ঐ পাঁচশত বিশিষ্ট বান্দাদের হিসেবের বাহিরে ছিল। তাহলে আজকের যুগের পাঁচশত বিশিষ্ট লোক সেই হাজার সাহাবায়ে কেরাম যারা বিশিষ্ট বান্দাদের হিসাবের বাহিরে ছিল তারা উত্তম। বরং মুসলিমদের তো আক্বীদাহ এই যে আজকের যুগের বড় বড় মুত্তাকীও নিম্ন দরজায় সাহাবীর মর্যাদায় পৌঁছাতে পারে না। উত্তম বা বিশিষ্ট হওয়া তো দূরের কথা। আজকে সারা বিশ্বের কোটি কোটি মুসলিমদের মধ্যে শুধুমাত্র পাঁচশতই বিশিষ্টি বান্দা যারা মানুষের সাথে সদ্ব্যবহার করে? এবং আল্লাহ প্রদত্ত রিযিক দ্বারা অন্যের সহিত সহানুভূতি করে? মানুষের সাথে সদ্ব্যবহার কারার মত লোক হিন্দুস্থানেই হাজার হাজার হবে। এ জাতীয় মিথ্যা হাদীস শুধুমাত্র পীর-মুরিদীর ব্যবসা চমকানোর জন্য বলা হয়ে থাকে। অতএ তাবলীগী ভাইদের প্রতি আমার বিনীত অনুরোধ যে, মিথ্যা হাদীসের তাবলীগ করে নিজে এবং এই সাধারণ মুসলিমদেরকে জাহান্নামের দিকে না নিয়ে বরং সহীহ হাদীসের ভান্ডার বহুত বড় এবং তাবলীগ ও তা‘লিমের মধ্যেই যথেষ্ট ভাবুন। আর ইসলাম বিরোধী কিচ্ছা কাহিনী নিসাবে থেকে বের করে দিন। ঐ সমস্ত গ্রন্থ থেকে ইসলাম বা আল্লাহ প্রদত্ত একমাত্র ওয়াহী ভিত্তিক মিশন ব্যবস্থা কি আমাদের নিকট প্রিয় নয়? আল্লাহ আমাদের মুসলিম উম্মাহকে বিভ্রান্তি থেকে বেঁচে সঠিক পথে চলার তাওফীক দান করুন। আমীন!

No comments:

Post a Comment

সাম্প্রতিক পোষ্ট

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার"?

"যারা facebook চালায় তারা কখনই ভাল মুসলিম হতে পারে না" "FB তো ইহুদীর আবিষ্কার" . "আপনি এত ইসলাম মানেন তাহলে f...

জনপ্রিয় পোষ্ট সমুহ