হাদীস যাচাইয়ে স্বপ্ন বা কাশ্ফ গ্রহণযোগ্য নয়
শায়খের
শেষোক্ত কথা দ্বারা জানা যায় হয় যে, কাশ্ফের মাধ্যমে উল্লেখিত হাদীসটি
সহীহ প্রমাণিত হয়েছে। অথচ যা বিদ‘আতী ও ‘ইল্মহীন পীরদের দৌরাত্মের এ যুগে
ভয় হয়, যেসব রিওয়ায়াতকে এ কিতাবে হাদীস বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতিতে জাল বা
ভিত্তিহীন বলে চিহ্নিত করা হয়েছে বা হবে, সেগুলো সম্পর্কে কেউ এই
টাল-বাহানা না করে যে, যদিও এগুলো হাদীস বিশেষজ্ঞদের দৃষ্টিতে মাওযূ‘ তথা
জাল; কিন্তু আমি বা আমার পীর সাহেব খাব, কাশ্ফ বা ইলহামের মাধ্যমে এগুলো
সঠিক বলে জানতে পেরেছি।
মনে রাখবেন
এ সকল দাবী সম্পূর্ণ বাতিল।
হাদীসে রসূল ছেড়ে কিংবা তা অস্বীকার করে তদস্থলে অন্যদের কথা ও মতকে দ্বীনে
অনুপ্রবেশ করানোর পথকে সুগম করার এটি একটি ইবলীসী চক্রান্ত। হাদীস
বিশেষজ্ঞগণ শারী‘আতের উসূল ও মূলধারার ভিত্তিতেই কোন রিওয়ায়াতের উপর
ভিত্তিহীন বা জাল হওয়ার হুকুম আরোপ করে থাকেন। তাই শারী‘আতের বিধি মোতাবেক
এই হুকুম মেনে নেয়া একান্ত অপরিহার্য। এর বিপরীতে কারো স্বপ্ন, কাশ্ফ ও
ইলহাম শারী‘আতে ধর্তব্য নয়। উম্মাতের ইজমা এবং শারী‘আতের অন্যান্য দলীল
মোতাবেক এগুলো দ্বীনি ব্যাপারে বিশেষত হাদীসের শুদ্ধতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে
প্রমাণ হতে পারে না। এগুলোর পিছনে পড়ার অর্থ যা দ্বীন নয় তাকে দ্বীন
বানানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত হওয়া। এখানে শারী‘আতের দৃষ্টিতে স্বপ্ন কাশ্ফ ও
ইলহামের মান সম্পর্কে দলীলভিত্তিক আলোচনার স্বল্প হলেও প্রয়োজনবোধ করছি।
যাতে গোড়া থেকেই এই ভ্রান্ত ধারণা খতম হয়ে যায়। কারণ এ নিসাব গ্রন্থে অনেক
স্থানে স্বপ্ন, কাশ্ফ ও ইলহামের বর্ণনা আছে যা বুঝার জন্য পাঠকের আর দলীলের
প্রয়োজন না হয় শুধু এ অধ্যায় স্মরণ রাখলে যথেষ্ট হবে। অনুরূপভাবে
পরবর্তিতে তাসাওউফ তত্ত্ব সম্পর্কে যেমন মোটামুটি বিস্তারিত আলোচনা করেছি
যাতে ঐ বিষয়েও পাঠকের জন্য আর দলীলের প্রয়োজন না হয়। কারণ নিসাব গ্রন্থে
তাসাওউফ ও সূফীদের কথাও কম নয়।
No comments:
Post a Comment