দ্বীন ইসলামের দা‘ওয়াত
মুসলিমদের
এমন একটি জামা‘আত হবে যার মধ্যে ফিরকাবন্দী ও মাযহাব অবলম্বনকারী পাওয়া
যায় না। অর্থাৎ যে ব্যক্তি দ্বীন ইসলাম কবূল করে সে শুধু মুসলিম হয়, কোন
মাসলাক, কোন মাযহাব, কোন মাকতাবা ফিকির, কোন ফিরকাবন্দী রায় ভিত্তিক ফিক্হ
এর অনুসারী হয় না। এদেরতো শুধু একটিই দ্বীন এবং তা হল ইসলাম। তারা শুধু
কুরআন মাজীদ এবং সহীহ হাদীসের আহ্কামের পাবন্দ হয় এবং তাওহীদ ও সুন্নাতের
পথযাত্রী হয়। সত্যিকার মুসলিম তাওহীদ ও ইত্তেবায়ে সুন্নাতের উপর দৃঢ়তার
সাথে প্রতিষ্ঠিত থাকে। আর
তারা শুধু যা রসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর রেখে যাওয়া
ইসলামের উপরই প্রতিষ্ঠিত এবং সেদিকেই তারা মানুষকে আহবান করে। মুসলিমদের
কোন ফিরকা নেই এবং ফিরকাবন্দী নাম ভিত্তিক কোন ইসলামকে তারা ইসলাম মনে করে
না। প্রকৃত মুসলিম প্রত্যেকেই ফিরকাবন্দীকে অভিশাপ মনে করে, কিন্তু ফিরকাকে
ছাড়তেও চায় না। এটা কথা ও কর্মের বৈপরীত্য। এভাবে ফিরকাবন্দী কখনও খতম হতে
পারে না এবং সব মানুষের এক সাথে হয়ে যাওয়ার স্বপ্নও বাস্তবায়িত হওয়া
কক্ষনও সম্ভব নয়।
মহান আল্লাহ বলেন :
{مُنِيبِينَ
إِلَيْهِ وَاتَّقُوهُ وَأَقِيمُوا الصَّلاةَ وَلا تَكُونُوا مِنَ
الْمُشْرِكِينَ، مِنَ الَّذِينَ فَرَّقُوا دِينَهُمْ وَكَانُوا شِيَعاً
كُلُّ حِزْبٍ بِمَا لَدَيْهِمْ فَرِحُونَ}
‘‘বিশুদ্ধ চিত্তে তাঁর অভিমুখী হয়ে তাঁকে
ভয় কর, সলাত কায়েম কর অন্তর্ভুক্ত হয়ো না মুশরিকদের, যারা নিজেদের দ্বীনে
মতভেদ সৃষ্টি করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে। প্রত্যেক দলই নিজ নিজ
মতবাদ নিয়ে উৎফুল্ল।’’
(সূরা রূম
৩১-৩২)
পাঠকবৃন্দ! এই আয়াতের দিকে মনোযোগ দিন।
আল্লাহ তা‘আলা মুশরিকদের কর্মকান্ড কিভাবে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করেছেন। আসুন,
আমরা দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করে সত্যিকারের মুসলিম হয়ে ফিরকাবন্দীর অভিশাপকে
খতম করি।
No comments:
Post a Comment